মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই কঠোর বার্তা দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছি। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিশ্চিত করতে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে এখন একটি প্রকৃত তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের মডেলে কাজ করতে হবে।”
ফখরুল আরও যোগ করেন, “অন্য কথায়, তাদের অবশ্যই একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পূর্ণ দায়িত্ব ও কার্যাবলী গ্রহণ করতে হবে।” তত্ত্বাবধায়ক-ধাঁচের সরকারের দিকে অগ্রসর হতে হলে প্রশাসনকে প্রথমে পুরোপুরি নিরপেক্ষ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “জনগণের মধ্যে সেই ধারণা প্রোথিত হতে হবে। বিশেষ করে, সচিবালয়ের ভেতরে এখনও যারা 'ফ্যাসিবাদীদের মিত্র' হিসেবে চিহ্নিত—সেই কর্মকর্তাদের অপসারণ করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের প্রতিস্থাপন করার জন্য আমরা জোরালোভাবে অনুরোধ জানিয়েছি।”
তিনি জেলা প্রশাসন থেকেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা মনে করি, কিছু লোক এখনও পূর্ববর্তী সরকারের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। আমরা তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছি। এছাড়াও, বিএনপি পুলিশ নিয়োগ ও কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে।
বিচার বিভাগ নিয়েও নিজেদের উদ্বেগের কথা জানান ফখরুল। তিনি বলেন, “আমরা বলেছি যে বিচার বিভাগের মধ্যে—বিশেষ করে উচ্চ বিচারালয়ে—যারা এখনও ফ্যাসিবাদীদের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অপসারণ করে নিরপেক্ষ বিচারক দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে। যদিও এটি মূলত বিচার বিভাগের নিজস্ব বিষয়, তবুও অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার যেহেতু সকল বিষয়ের তত্ত্বাবধান করছে, তাই আমরা আমাদের উদ্বেগ উত্থাপন করেছি।”